মানসিক স্বাস্থ্য ও পরিস্কার বিষয়টি বহু যুগ ধরেই মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ঘর পরিস্কার রাখার সাথে মানসিক অবস্থার গভীর সম্পর্ক আছে যা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বারংবার প্রমাণিত হয়েছে। ঘর পরিস্কার ও স্বাস্থ্যের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচিত হতে পারে。
প্রথমেই বসবাসের স্থান এবং মানসিক অবস্থার কথা বলা যাক। একটি সুস্থ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ যে কাউকে মনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে। একটি গোছানো এবং পরিস্কার ঘর সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ধরনের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলার প্রমাণ দেয়। ঘরসংস্কারের মনস্তত্ত্ব বলেছে যে একজন ব্যক্তি তার আশেপাশের পরিবেশ অনুযায়ী মানসিকভাবে প্রভাবিত হয়। যেকোনো অগোছালো স্থান এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে এবং তা নেতিবাচকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।
যখন পরিস্কার করার মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি আসে, তখন তা মানসিক উন্নতির পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নিজেদের ঘরবাড়ির অর্ডার ও আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা ব্যক্তি মানসিকভাবে উন্নতিতে সহায়তা পেয়ে থাকে। বসবাসের জায়গায় মাত্রাতিরিক্ত জঞ্জাল ও মনোসংযোগের অভাব থাকতে পারে, যা অবসান হলে মানসিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।
পরিস্কারের মাধ্যমে মানসিক উন্নতি একটি প্রাকৃতিক থেরাপি হিসেবে কাজ করে। পরিস্কারকর্মের থেরাপি মানসিক ভোগান্তি কমানোর ক্ষেত্রে অনবদ্য। পরিষ্কার করে রাখা ঘর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মানসিক শান্তি এবং গৃহস্থালির কার্যকলাপ ও চাপ কমানোর কৌশল হিসেবে ঘরসংগঠনের মাধ্যমে মানসিক উন্নতি করা যায়।
প্রাত্যহিক রুটিন পরিস্কার ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক উন্নতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একটি অব্যর্থ পন্থা। যখন স্থানের অর্ডার ও মনের শৃঙ্খলা আসে, তখন তা মানসিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। পরিস্কার রাখার উপকারিতা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে যা সমধিক মনস্তাত্ত্বিক ব্যস্ততায় আমাদের সহায়তা করে।
অতএব, ঘরবাড়ির পরিস্কার এবং সুসংগঠিত অবস্থা কেবলমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতির জন্যও অপরিহার্য। এ কারণে রুটিন পরিস্কার এবং সুশৃঙ্খল বাস করার পরিবেশ নিশ্চিত করে মানসিক উন্নতি সাধন করতে প্রত্যেকেরই মনোযোগ দিতে উচিত।